হিজাব পরা মেয়ে-ই একদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবে বলে মন্তব্য করেছেন নিখিল ভারত মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ভারতে চলমান হিজাব-বিতর্কের মধ্যে দেশটির অন্যতম মুসলিম রাজনীতিবিদের কাছ থেকে এ নিয়ে মন্তব্য এল। একটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতাকালে আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে হিজাব প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে শোনা যায়।
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি তাঁর বক্তৃতার ৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন।
ভিডিওতে আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে বলতে শোনা যায়, ‘একজন মেয়ে যদি হিজাব পরার সিদ্ধান্ত নেয়, সে মা–বাবাকে যদি বলে, মা–বাবা যদি অনুমতি দেয়, তাহলে তাকে হিজাব পরা থেকে আটকাবে?’
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, মেয়েরা হিজাব পরবেন। তাঁরা নেকাব পরবেন। তাঁরা কলেজ যাবেন। তাঁরা চিকিৎসক, কালেক্টর, এসডিএম কিংবা ব্যবসায়ী হবেন।
হায়দরাবাদের এই সাংসদ বলেন, ‘আপনারা সবাই মনে রাখবেন, আমি হয়তো তখন বেঁচে থাকব না, তবে হিজাব পরা মেয়েই একদিন এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে।’
বেশ কিছু দিন ধরে ভারতের দক্ষিণি রাজ্য কর্ণাটকে হিজাব-বিতর্ক গুরুতর আকার ধারণ করেছে। রাজ্যের কোনো কোনো সরকারি কলেজে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরে শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। পরে এ বিতর্ক অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ বিতর্ক জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ
হিজাব পরে কলেজে প্রবেশে বাধা, পদত্যাগ করলেন অধ্যাপিকা
ভারতে হিজাব পরে কলেজে প্রবেশে বাধা দেয়ার জেরে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন চাঁদনি নামে কর্নাটকের এক অধ্যাপিকা।
বৃহস্পতিবার রাজ্যটির জৈন পিইউ কলেজে এ ঘটনা ঘটে। খবর আনন্দবাজারের।
ওই অধ্যাপিকা জানান, গত তিন বছর ধরে ওই কলেজে চাকরি করছেন তিনি। হিজাব পরেই ক্লাস নিয়ে আসছেন নিয়মিত। আগে কোনোদিন কেউ হিজাবের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেননি, কিন্তু হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষ তাকে বলেন, ‘হিজাব অথবা অন্য কোনো ধর্মীয় চিহ্ন থাকে, এমন পোশাক পরে ক্লাস নেয়া যাবে না।’ এরপরই তিনি চাকরি থেকে ইস্তফার ঘোষণা দেন।
চাকরি থেকে পদত্যাগের ব্যাপারে অধ্যাপিকা চাঁদনি বলেন, ‘এই নতুন সিদ্ধান্ত আমার আত্মমর্যাদায় আঘাত করেছে। তাই পদত্যাগ করলাম।’ পদত্যাগ পত্রেও আত্মমর্যাদায় আঘাতের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তিনি।