ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সময় আন্দোলনে দমনপীড়ন চালানো অনেক পুলিশ কর্মকর্তাও পালিয়ে যায়। এতে ভেঙ্গে পড়ে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।
জনগনের জান-মাল রক্ষায় শুরু থেকেই মাঠে সক্রিয় ছিলো বাংলাদেম সেনাবাহীনি। কিন্তু পলাতক আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। একের পর এক অডিও বার্তায় উস্কানি দিয়ে যাচ্ছেন পলাত শেখ হাসিনা। ফলে দেশে বাড়ছে ছিনতাই, ক্ষুণ ও রাহাজানি।
এই প্রেক্ষিতে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সেনা সদস্যদের আবারও নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ সোমবার দুপুরে সাভার ক্যান্টনমেন্টে ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।
এসময় সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা ভাবছিলাম যে দ্রুত কাজ শেষ করে ক্যান্টনমেন্টে ফিরে যাব, কিন্তু কাজটা দীর্ঘদিন ধরে করে যেতে হচ্ছে। …….
তিনি আরও বলেন কাজ করতে গিয়ে বল প্রয়োগ করা যাবে না উল্লেখ করে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘যতটুকু না করলেই না হয় সেটুকু বল প্রয়োগ করে কাজ করতে হবে।’
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘একজন সেনা সদস্যের পেশাগত উৎকর্ষ অর্জনে ফায়ারিংয়ের দক্ষতা অত্যন্ত জরুরি। এটা মৌলিক প্রশিক্ষণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিবছর এই প্রতিযোগিতা সেনা সদস্যদের কাঙ্ক্ষিত মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
অনুষ্ঠানে, ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মঈন খানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে সেনা সদস্যদের উৎসাহ দিতে সেনাপ্রধান নিজেও ফায়ারিংয়ে অংশ নেন। এসময় নির্দিষ্ট টার্গেট করে কয়েক রাউন্ড ফায়ার করেন তিনি।