যেখানেই ইসরাইলের আগ্রাসন সেখানেই গর্জে ওঠে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তায়েফ এরদোয়ান। মুসলিম এই তুর্কি নেতা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে গাজার কশাই বলে আখ্যা দিয়েছেন।
কেবল কথার লড়াই নয়, ইসরাইয়েলের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক চিহ্ন করেছেন এরদোয়ান। এবার আবারও গাজা ইস্যুতে গর্জে ওঠেছেন এই তুর্কি নেতা। ফিলিস্তিনের গাজা বাসির পক্ষ নিয়ে তিনি আবারও ইসরাইলকে কড়া হুসিয়ারি দিয়েছে।
এরদোয়ান বলেছেন কোন শক্তিই ফিলিস্তিনিদের তাদের চিরন্তন মাতৃভূমি থেকে বের করে দিতে পারবে না। কারন, গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম ও আল-কুদস ফিলিস্তিনিদের।
এরদোয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা কিনে নেয়া বা পুনর্গঠনের নামে গাজাবাসিীকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা প্রত্যাখান করেন।
মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রাক্কালে এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা গাজার জনগণকে তাদের চিরন্তন মাতৃভূমি থেকে সরিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই।
তিনি জোরালো কন্ঠে ঘোষণা করেছেন গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম ও আল-কুদস ফিলিস্তিনিদের ছিলো এবং তাদেরই থাকবে। মোঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠক হয়, সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিকে “মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা” হিসেবে রুপান্তর করতে চান তিনি। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুত্বরাষ্ট্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। আর সেখান থেকে বের করে দেয়া হতে পারে ফিলিস্তিনিদের।
ট্রাম্প প্রস্তাব করেছেন গাজাবাসীদের মিশর, জর্ডান এবং সৌদি আরবের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে পুনর্বাসিত করা যেতে পারে। ট্রাম্পের এমন উদ্ভট প্রস্তাবের পরই বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সৌদিসহ গোটা আরব বিশ্ব এই পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানায়। তারা বলেন গাজা বাসিরা গাজাতেই থাকবে। কোনভাবেই পুনর্গঠন বা উন্নয়নের নামে তাদেরকে গাজা থেকে বিতাড়িত করা চলবে না । এই ঘোষণার পরেও ট্রাম্প আবারও গাজা কিনে নেয়ার বা সেখানে সেনা পাঠানোর প্রসঙ্গ তোলেন।
গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এক টিভি স্বাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের সুরে কথা বলেছেন। তিনি জানান ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে তার দেশ উদ্যোগ নিবে। সেই সাথে নেতানিয়াহু বলেন, সৌদি আরবের প্রচুর জমি আছে এবং তারা তাদের ভূখন্ডে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।
নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য প্রত্যাক্ষাণ করে সৌাদি আরব জানিয়েছে এমন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তারা সবসময় স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকবে।